আমরা যদি পিছন ফিরে একবার ভাবি, বিশ্বাস কতকাল ছদ্মবেশে বেঁচে আছে – যুগ যুগ ধরে প্রহসন, শেক্সপিয়ারের চড়া কমেডি, এমনকি বিগত উনিশ শতকের গোয়েন্দা কাহিনী ছদ্মবেশ থেকে উঠে আসা বিভ্রান্তির সাথে মিশে গেছে কোন সমস্যা ছাড়াই – যথেষ্ট অবাক হতে হয় এই ভেবে যে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ফিকিরি গ্রহণে সবাই কতটা অনিচ্ছুক এখন। যখন ছদ্মবেশের কথা আসে তখন তারা রসিকতার খোঁজ পেতে অস্বীকার করে, এবং আধুনিক উপন্যাসে এ জাতীয় ভ্রান্ত পরিচয় তাদের কাছে ভ্রূকুটি। তবুও দেহের সুস্পষ্ট, একক বিশিষ্টতার উপর এই জোরপূর্ব্বক অনড় অবস্থান ঠিক তখনই হাজির হয় যখন পরোপকারী, প্রাউস্টের শিষ্যরা এবং মনোবিজ্ঞানীরা আমাদের আশ্বাস দেন যে সমস্ত সম্ভাবনা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই বাস করে এবং ব্যক্তিত্বের ঐক্য নিয়ে যে বিশ্বাস তার চেয়ে বেশি কিছুই সেকেলে এবং সংকীর্ণ হতে পারে না। কি হতে পারে এর কারণ?
(১৯২৯ সালে লিখিত, বেনিয়ামিনের জীবদ্দশায় অপ্রকাশিত। Gesammelte Schriften, VI, ২০৩-২০৪, রডনি লিভিংস্টোন ইংরাজি অনুবাদ থেকে)