কে নাস্তিক? ঈশ্বর নাই – এ কথা যে মানে নাকি এ কথা যে বিশ্বাস করে? ঈশ্বর আছে কি নাই – একি কোনভাবে প্রমাণ করা যায়? তাহলে বিশ্বাস নিয়ে তর্ক করে লাভ কি? কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি আর গালমন্দ করে কি হবে? ঈশ্বরের অনস্তিত্বের বিচারে নাস্তিকতার যে মানদণ্ড তা অনেক পুরানো – আজকাল নাস্তিকতার এই ধারনাটি প্রশ্নবিদ্ধ। হকিন্স, ডকিন্স, ডেনেট, স্যাম হ্যারিসন – এদের নাস্তিকতার ধারনাটি পুরানো আঙ্গিকের। মনঃসমীক্ষণের দিক থেকে নাস্তিক সেই যে কিনা ঈশ্বরকে চেতনার প্রান্তর থেকে তার অচেতনে পাঠিয়ে দিতে পেরেছে। প্রতিদিন ঈশ্বরের কাছাকাছি বা মুখোমুখি থাকা এক ভয়ংকর ব্যাপার। ঈশ্বরের নামে যারা মানুষ বা গণহত্যায় লিপ্ত তারা মনে করে ঈশ্বর তাদের খুব কাছাকাছি – যেন মূর্তিমান তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। তারা মনে করে ঈশ্বরকে তাৎক্ষনিক খুশী না-করাটা খোদকারির শামিল – ঈশ্বরের অবমাননা। যারা ঈশ্বর নিয়ে কথা উঠলেই হৈ হৈ করে ওঠেন তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশী দেখা যায়। ধর্ম নিয়ে কথা উঠলেই তারা ভাবে ধর্ম গেল! মনে রাখা প্রয়োজন, মানব সভ্যতা যেমন কর্মের ফল, তেমনি চিন্তারও ফল।